হ্যাকিংয়ে জড়িত বাংলাদেশী গ্রুপ, ফেসবুকের দাবিতে তোলপাড়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ২২:১০
দেশের দুটি গ্রুপ হ্যাকিংয়ের কাজ করে বলে ফেসবুক তাদের ব্লগ পোষ্টে জানিয়েছে।
একটির নাম হচ্ছে 'ডন'স টিম' — যা 'ডিফেন্স অব নেশন' নামেও পরিচিত এবং অন্যটি হলো 'ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন' (সিআরএএফ)।
ভিয়েতনামের একটি গ্রুপের নামও উল্লেখ করেছে ফেসবুক, যার নাম 'এপিটি-৩২'।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে বাংলাদেশ ভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপটি স্থানীয় বিভিন্ন কর্মী, সাংবাদিক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের টার্গেট করে এবং তাদের অ্যাকাউন্ট ও পেজ হ্যাক করে।
শুধু তাই নয়, হ্যাক করা এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজ নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহারও করেছে তারা।
এ ধরনের হ্যাকিংয়ের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সবার অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, "আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গেও এসব হ্যাকারদের বিষয়ে তথ্য শেয়ার করেছি, যেন তারাও সতর্ক হতে পারে"।
কিন্তু ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন - যারা ফেসবুকের উল্লেখ করা দুটি গ্রুপের একটি - তার সভাপতি জেনিফার আলম বলছেন, তারা কোন আইডি বা পেজ হ্যাক করেন না, বরং সাধারণ মানুষকে তথ্য সেবা দিয়ে থাকেন।
বিবিসি বাংলাকে জেনিফার আলম বলছিলেন, "যখন কেউ আমাদের পেজে জানায় তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে তখন আমরা তাদের জানায় ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে তারা অ্যাকাউন্ট বা পেজটি উদ্ধার করতে পারে।"
"যদি তদন্তের দরকার হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সাথে আমরা তাদের যোগাযোগ করিয়ে দেই।"
ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ পেজ বা অ্যাকাউন্ট থাকতে তাদের পেজটিকেই কেন হ্যাকার হিসেবে চিহ্নিত করলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ - এমন প্রশ্নে জেনিফার আলম বলেন, এর দুটি কারণ থাকতে পারে।
"আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে যদি তারা এই কাজটি করে তাহলে মিসলিড হয়েছে, নয়তো অন্য কোন গ্রুপ গোপনে হ্যাকিং এর কাজ করছিলো যার শিকার আমরা হয়েছি" - বলছিলেন তিনি।
তিনি বলছিলেন, "আমরা একটা অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট দেব ফেসবুককে। কারণ এতে আমাদের সম্মানহানি হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তারা আমাদের সাথে কথা বা যোগাযোগ না করে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে না। ফেসবুক সেটাই করেছে"।
এদিকে অপর গ্রুপ ডন'স টিম— যা ডিফেন্স অব নেশন এর কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।